Close Menu
Bangla News 360Bangla News 360
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla News 360Bangla News 360
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    Bangla News 360Bangla News 360
    Home»জাতীয়»বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন না হলে যেসব ক্ষতির আশঙ্কা ভারতের
    জাতীয়

    বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন না হলে যেসব ক্ষতির আশঙ্কা ভারতের

    অনলাইন ডেস্কBy অনলাইন ডেস্কApril 6, 2025 10:18 AMNo Comments5 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়েছেন হাসিনা। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে গণহত্যার বিচার। এমন এক ব্যক্তিকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে দুদেশে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠা কার্যত অসম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে দুদেশের পররাষ্ট্র নীতি এক ধরনের জটিল সমীকরণের দিকে এগোচ্ছে। যদিও ব্যাংককে বিমসটেক সম্মলনের সাইডলাইন বৈঠক হয়েছে ড. ইউনূস ও মোদির। বৈঠক হওয়ার পর প্রকাশ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে যাচ্ছে বলে মনে করা হলেও বাস্তবে টানাপোড়েন থেকেই যাচ্ছে।

    এর আগে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি দিলেও তার জবাব দেয়নি ভারত। উলটো জনগণের আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসককে প্রশ্রয় দিচ্ছে ভারত।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে তা দুদেশের সম্পর্কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ভারতে বসে নানাভাবে যে ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন, সেটা বন্ধ না হলে এটা করলে প্রতিবন্ধকতা বাড়বে। তবে তারা এও বলছেন, ভারতের বর্তমান যে অবস্থান তাতে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

    বিশ্লেষকদের আরও অভিমত-বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে দুদেশেরই পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ শুধু ৪ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য করেছে, এবং বাকি ১৪ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়েছে ভারত থেকে। বাংলাদেশে বিরাটসংখ্যক ভারতীয় কাজ করেন। বিদ্যুৎ খাতসহ নানা সেক্টরে ভারতীয় বিনিয়োগ রয়েছে। ভারতের পর্যটন শিল্পের সবচেয়ে বেশি আয় হয় বাংলাদেশিদের থেকে।

    এছাড়া ভারতের জন্য একটা বড় দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো, শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেক এলাকা। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে একটা বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থা চালু রাখাও ভারত জরুরি মনে করে। আছে সেভেন সিস্টার্স নিরাপত্তা ইস্যুও। ফলে ভারত চায় না এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বন্ধ থাকুক।

    আরও পড়ুনঃ  মাকে জামায়াত রুকন অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন তুরিন

    অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্যও সবচেয়ে নিকটতম ও বড় প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতা কাটানো উচিত। বিশেষ করে পানি চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রয়েছে। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব ভিসা জটিলতাও কাটাতে চায় বাংলাদেশ। বাণিজ্য বৈষম্যও কমিয়ে আনাও জরুরি। ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আক্রোশে পালিয়ে যান ভারতে। ফলে এখন তার ভারতে অবস্থান যদি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংকটে রূপ নেয়, সেটা কারও জন্যই খুব সুখকর হবে না।

    জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এম শহিদুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টা ভারত প্রত্যর্পণ আইন দিয়ে করবে। এখন এটা তো দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ফলে আমি ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনা দেখি না। কারণ শেখ হাসিনাকে তারা (ভারত) ব্যবহার করবে যদি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পায়। এটা অনিশ্চিত হতে পারে তবে এটা একটা বিষয়। তিনি আরও বলেন, তবে সম্পর্ক আর আগের মতো হবে না। কারণ বাংলাদেশ তো আর হাসিনার সই করা চুক্তি মেনে চলবে না। অন্যান্য ক্ষেত্রেও ভারতকে একতরফা সুযোগ দেবে না। আবার ভারতও চাইবে বাংলাদেশকে চাপের মধ্যে রাখতে। ফলে বাংলাদেশের চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো উচিত হবে বলেও মনে করেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ  ধানমন্ডি বত্রিশের আগুন যমুনায় গিয়ে লাগতে পারে: রাশেদ খান

    জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। দুদেশের মধ্যে অনেক কমন এজেন্ডা ও ইস্যু আছে। এখন শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত দেবে কি দেবে না সেটা তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে সেটাকে রেখেও কিন্তু অনেক কিছু নিয়ে এগোনো যায়। বিশেষ করে অর্থনীতি, পিপল টু পিপল যে ইস্যু সেগুলো। আবার আমরা বলছি- সার্ক রিভাইজ করতে চাচ্ছি। সেটা করতে হলে তো মিনিমাম একটা রিলেশনশিপ রাখতে হবে। শেখ হাসিনা অপরাধ করলে তার বিচার একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যাবে। কিন্তু আমরা কনটেনশিয়াল ইস্যুগুলোকে রেখে সম্পর্ক যদি দুদেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় সেটা সম্ভব।

    তিনি আরও বলেন, শুধু শেখ হাসিনার ভারত অবস্থান নয়, সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে। ভারত প্রতিদিন যেভাবে কথা বলছে। আমাদের যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, এগুলোও তো প্রতিবন্ধকতা। তারা আমাদের ভিসা বন্ধ করে রেখেছে। আবার আমাদের দিক থেকেও কিছু থাকতে পারে। ফলে প্রতিবন্ধকতা অনেক আছে। কিন্তু যদি সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. এম জসিম উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, আমি মনে করি এই বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর মধ্য দিয়ে ভারত সরকার আমাদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে তাকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দিয়েছে। মোদি সরকার বিভিন্নভাবে ইউনূস সরকারকে কটাক্ষ এবং মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করলেও বাস্তবতা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় প্রফেসর ইউনূস উল্লেখ করেছেন। সীমান্ত হত্যা, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তিস্তা চুক্তি, গঙ্গার পানির চুক্তি নতুন করে নবায়ন করা সব বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন। আমি মনে করি এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে যেখানে জাতীয় স্বার্থ সবচেয়ে ওপরে, তাই নতজানুভাবে কিছু বিষয় আনব কিছু বিষয় আনব না, সেটা তিনি (প্রফেসর ইউনূস) করেননি। সব বিষয় গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছেন। এটি প্রফেসর ইউনূসের কূটনৈতিক বিজয় বলে আমি মনে করি।

    আরও পড়ুনঃ  এসপিসহ ৬ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি, জানা গেল নাম

    শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেওয়া প্রতিবন্ধকতা হিসাবে কাজ করবে কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো অবশ্যই। কারণ এটা ছাত্র-জনতার একটা বড় দাবি। হাসিনা এখানে গণহত্যা চালিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাও এটা প্রমাণ পেয়েছে বলে তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। সেখানে গণহত্যায় অভিযুক্ত একজনকে ফেরত দেওয়ার মতো বাংলাদেশের একটা বৈধ চাওয়া ভারত সরকার কিভাবে না করে সেটা দেখারও একটা বিষয় আছে। ফলে এটা কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতা আনবে।

    বিশেষ করে প্রফেসর ইউনূস যেটা বলেছেন, শেখ হাসিনা ওখানে বসে (ভারতে) নানাভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন, ফলে এটা বন্ধ না করলে প্রতিবন্ধকতা বাড়বে বলে মনে করা যায়। এছাড়াও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে প্রোপাগান্ডা ভারতীয় সরকার, বিরোধী দল এবং ভারতীয় মিডিয়া অনবরত চালিয়ে যাচ্ছে, সেটি বন্ধ করতেই হবে দুদেশের সম্পর্কের মধ্যে বরফ গলাতে চাইলে।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    অনলাইন ডেস্ক

      Related Posts

      ভারত-তাজউদ্দীনের গোপন সেই ৭ দফা চুক্তিতে আসলে কী ছিল?

      April 12, 2025 9:33 AM

      শঙ্কা’র পরেই ফের ভূমিকম্প, ৪ জেলা উচ্চ ঝুঁকিতে

      April 12, 2025 9:17 AM

      সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ঢাকায় আগমন ঠেকানোর নির্দেশ পুলিশের

      April 12, 2025 8:12 AM
      Add A Comment
      Leave A Reply Cancel Reply

      Latest News

      How to Apply for UAE Golden Visa as a Bangladeshi Citizen – 2025 Guide – Bd24live

      July 7, 2025 9:59 PM

      None involved in mob violence will be spared: Home Adviser warns – Bd24live

      July 7, 2025 7:58 PM

      Elon Musk says he has created a new US political party – Bd24live

      July 6, 2025 7:35 PM

      Tazia procession underway on holy Ashura in Dhaka – Bd24live

      July 6, 2025 5:31 PM
      Facebook X (Twitter) LinkedIn WhatsApp Telegram
      © 2025 Bangla News 360

      Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.