মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন ইসলামি আলোচক ও আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশেনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
রোববার (২২ জুন) রাতে দেওয়া সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অংশগ্রহণ করা ২৭টি যুদ্ধে উভয়পক্ষে মারা গেছে মোট চারশ মানুষ। তাদের প্রত্যেকে আবার ছিলেন সামরিক যোদ্ধা। আজকের পৃথিবীতে এক বোমার আঘাতেই চারশর বেশি মানুষ মারা যায়। যাদের বেশির ভাগই আবার নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ বেসামরিক সাধারণ মানুষ। এরপরও আপনাকে বলতে হবে আজকের পৃথিবী সভ্য!
নবীজি (সা.) এবং তার সৈনিকেরা কখনও কোনো নারী কিংবা শিশুর গায়ে ফুলের টোকাও দেননি। অথচ আজ প্রতিটি রণাঙ্গণে কান পাতলেই শোনা যায় নারী ও শিশুর আর্তনাদ। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী অনেক মানবিক!
নবীজি (সা.) কখনও উপাসনালয়ে থাকা যাজকদের হত্যা করেননি। অথচ আজ বেছে বেছে ধর্মীয় উপাসনালয় ও ধর্মীয় নেতাদের টার্গেট করা হয়। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে সংবেদনশীল!
নবীজি (সা.)-এর খলিফা আবু বকর (রা.) যুদ্ধের সময় সৈনিকদের গাছপালা ও ফসল নষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। অথচ আজ নির্বিচারে কার্পেট বোমা মেরে পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস করা হয়। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী অনেক বেশি পরিবেশ সচেতন।
নবীজি (সা.) লাশের সাথে অমানবিক আচরণ করত নিষেধ করেছেন। অথচ আজ মৃত লাশ নিয়ে পৈশাচিক আনন্দ করা হয়। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী মানবাধিকারের উর্বরভূমি।
নবীজি (সা.) সম্মুখ যুদ্ধেও প্রতিপক্ষের আক্রমণের অপেক্ষা করতেন, আক্রমণের আগে তাদের শেষবারের মতো দাওয়াত দিতেন, অথচ আজ ক্ষমতাধরেরা যখন যেখানে খুশি এমনকি রাতে আঁধারে ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা করে। এরপরও আপনাকে বলতে হবে, আজকের পৃথিবী শান্তিকামী।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনে বর্বর হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। বর্তমানে ইরানে হামলা চালাচ্ছে দখলদাররা, এক সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইহুদিবাদীদের প্রধান নেতানিয়াহু চলমান সংঘাতের মধ্যেই বলেছেন পরবর্তীতে পাকিস্তানে হামলা করবেন।
আরব বিশ্বের ইসলামিক স্কলাররা বলছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন তকমা দিয়ে আগের মতো একে একে মুসলিম দেশগুলোকে টার্গেট করছে। আরব বিশ্বকে এখনই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইরান পরাজিত হলে মধ্যপ্রাচ্যে হুমকির মুখে পড়ে যাবে