Close Menu
Bangla News 360Bangla News 360
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla News 360Bangla News 360
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    Bangla News 360Bangla News 360
    Home»আন্তর্জাতিক»জেলেনস্কিকে সরাতে চান ট্রাম্প ও পুতিন, কিন্তু ইউক্রেনে কী যুদ্ধকালীন ভোট সম্ভব?
    আন্তর্জাতিক

    জেলেনস্কিকে সরাতে চান ট্রাম্প ও পুতিন, কিন্তু ইউক্রেনে কী যুদ্ধকালীন ভোট সম্ভব?

    অনলাইন ডেস্কBy অনলাইন ডেস্কApril 11, 2025 8:28 PMNo Comments5 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    যখনই ইউক্রেনের বিষয়টি সামনে আসে তখনই ভ্লদিমির জেলেনস্কির প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের গভীর বিরক্তি দেখা যায়। শুধু তাই নয় এই দুই নেতা ইউক্রেনের প্রতিপক্ষকে সরিয়ে দিতেও একমত। খবর আল জাজিরা

    গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি যেখানে ইউক্রেনে নির্বাচন হয়নি, সেখানে সামরিক আইন জারি রয়েছে। এই অবস্থায় আমার বলতে খারাপ লাগছে যে, ইউক্রেনের নেতার (জেলেনস্কির) জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে এসেছে।’

    ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পাঁচদিন পর পুতিনও এই মন্তব্য সমর্থন জানান। তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে তার (জেলেনস্কির) কত শতাংশ সমর্থন আছে, হতে পারে সেটা চার অথবা যে কোনো সংখ্যা। তার রেটিংই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তথ্যানুযায়ী, জেলেনস্কির বিরোধী দলের চেয়েও তার জনপ্রিয়তা অনেক নিচে। মূলত পুতিন ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল ভেলেরি জালুঝনির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। গত বছর জেলেনস্কি তাকে বহিস্কার করেন।

    তবে পুতিন ও ট্রাম্প জেলেনস্কির রেটিং নিয়ে ভুলের মধ্যে আছেন। কিয়েভের আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউট অব সোসিওলজির পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়নের মধ্যেও জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে তার জনপ্রিয়তা ৫২ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে ৫৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

    ওই পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ৩৭ শতাংশ ইউক্রেনীয়র জেলেনস্কির প্রতি আস্থা নেই। সমালোচকরা জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ এনেছেন। এছাড়া তার দল পিপল পলিটিক্যাল পার্টির বিরুদ্ধেও দুর্নীতি রোধে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জালুঝনিরকে বরখাস্ত করারও সমালোচনা করে তারা।

    জালুঝনিকে নিয়ে পুতিনের ধারণা সঠিক। বর্তমানে জালুঝনি যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই বর্তমানে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি।

    ইউক্রেনের এই সাবেক জেনারেলের জনপ্রিয়তা প্রায় ৬২ শতাংশ। তবে তিনি যুদ্ধ চলাকালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি গত সপ্তাহে ইউক্রেনের নিউজ এজেন্সি আরবিসিকে বলেন, যখন যুদ্ধ চলছে, তখন আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য কাজ করা প্রয়োজন।

    আরও পড়ুনঃ  প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের ওপর হা*মলা চালাতে পারে ইরান

    তবে জালুঝনি সুযোগে সেই জনসংযোগ কৌশল অনুসরণ করছেন, যা জেলেনস্কি ২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সফলভাবে প্রয়োগ করেছিলেন।

    তিনি খুব কম সাক্ষাৎকার দেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিজেকে সীমিত রাখেন, যার ফলে সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা-কল্পনা রয়েছে।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইউক্রেনে দ্রুত নির্বাচনের দাবি তোলেন তখন জালুঝনি ট্রাম্পের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। গত ৬ মার্চ তিনি লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংসের’ এবং ‘পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্যে সন্দেহ সৃষ্টির’ অভিযোগ তোলেন।

    ট্রাম্প বলেছিলেন, নিশ্চিত জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও জালুঝনি এখনই জেলেনস্কির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।

    এদিকে মার্চের শুরুতে ট্রাম্পের সহযোগীরা ইউক্রেনের দুইবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কোর সঙ্গেও আলোচনা করেন।

    ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে করা জরিপে টাইমোশেস্কো এগিয়ে ছিলেন। তবে কৌতুক অভিনেতা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা জেলেনস্কি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার পরই পরিস্থিতি ঘুরে যায়।

    কিয়েভ ভিত্তিক জরিপ সংস্থা রোজুমকভ সেন্টারের গত ২৫ মার্চের করা জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, মাত্রা ১০.৬ শতাংশ ইউক্রেনীয়র টাইমোশেস্কোর প্রতি আস্থা রয়েছে। তিনি ব্যাটকিভশচিনা (ফাদারল্যান্ড) রাজনৈতিক দলের প্রধান। তবে জেলেনস্কির পূর্বসূরি এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী (পেত্রো পোরোশেঙ্কো) তার চেয়ে সামান্য বেশি জনপ্রিয়।

    জরিপে দেখা গেছে, ১৭ শতাংশ ইউক্রেনীয়র পেত্রো পোরোশেঙ্কোর প্রতি আস্থা রয়েছে। ইউক্রেনের এই ধনকুব ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি মূলত দুর্নীতি দমনে শক্ত পদক্ষেপ এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ইউক্রেনীয়কে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন।

    পরবর্তীতে পোরোশেঙ্গো নিজেই একাধিক দুর্নীতির দায়ে জড়িয়ে পড়েন। ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সালের নির্বাচনে জেলনস্কির কাছে হেরে যান। পেরোশেঙ্গো বলেন, আগাম নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ট্রাম্পের সহযোগিরা তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তিনি আগাম নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর যা বলল ভারত

    তিনি তার ফেসবুকে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি হলেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। এক্ষেত্রে ইউক্রেনে শান্তি এবং নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’

    ইউক্রেনের সংবিধান এবং নির্বাচনী আইনে বলা হয়েছে, যখন সামরিক শাসন জারি থাকে তখন কোনো নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।

    ইউক্রেনকে প্রায় ৭ লাখ সেনাসদস্যকে অবসরে পাঠাতে হবে, যাতে তারা ভোট দিতে পারেন এবং তাদের মধ্যে যেকোনো একজন প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধন করতে ও প্রচার চালাতে পারেন। তবে এটি অসম্ভব। কারণ রুশ বাহিনী ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৫০ মাইল) দীর্ঘ ফ্রন্টলাইন ধরে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও মার্চ মাসে তাদের আঞ্চলিক সফলতা ছিল অতি সামান্য।

    খোরতিতসিয়া নামক একটি বিশ্লেষণধর্মী টেলিগ্রাম চ্যানেলের তথ্যানুসারে, ডনবাসের প্রায় ১৩৩ বর্গ কিলোমিটার (৫১ বর্গ মাইল) দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। নভেম্বর থেকে তাদের দখলকৃত অঞ্চলের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। যেখানে এই অঞ্চলে রাশিয়া ৭৩০ বর্গ কিলোমিটার দখলে নিয়েছিল।

    এ অবস্থার মধ্যে পুতিন আশা করছেন তার বাহিনী এমন কিছু করবেন যাতে যুদ্ধের মোড়ই ঘুরে যায়। এজন্য তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সরাসরি রাজি না হয়ে নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন।

    রাশিয়া প্রতিদিনই ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশটির নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    ইউক্রেনে ঐতিহাসিকভাবে সরকারি স্কুল এবং প্রশাসনিক ভবনগুলোতে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কিন্তু রাশিয়ার হামলায় এসবের অনেকগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া সোভিয়েত পরবর্তী ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজনের সময় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা নির্বাচন পরিস্থিতি যাছাই করে। কিন্তু কিয়েভ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের নিরাপত্তা দিতে অপারগতা জানিয়েছে।

    সামরিক আইন শেষ হলেই নির্বাচন আয়োজন

    যদি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তাহলে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে ৯০ দিনের মধ্যে একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে পারে ইউক্রেন। তবে ভোটারের প্রকৃত সংখ্যা জানার জন্য ইউক্রেনকে একটি আদমশুমারি করতে হবে। কারণ ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা চালানোর সময় দেশটিতে জনসংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৪৭ লাখ।

    আরও পড়ুনঃ  ইরানের পর টার্গেট রাশিয়া? সরাসরি যুদ্ধে নামছেন পুতিন!

    পরবর্তীতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় ৬৯ লাখ ইউক্রেনীয় অন্যত্র পালিয়ে যায়। এছাড়া নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩৭ লাখ এবং রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চল আশ্রয় নিয়েছে ৫০ লাখ ইউক্রেনীয়।

    জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩ লাখ ইউক্রেনীয় রাশিয়া এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশে বসবাস করছে।

    ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়া ও বেলারুশে থাকা নাগরিকরা যদি ভোট দেয়ার চেষ্টা করেন, তবে তারা কারাদণ্ড, নির্যাতন এবং সম্পত্তি হারানোর মতো ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে পারেন।

    অন্যদিকে, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত শরণার্থীদের ব্যালট পেপারে দেওয়া ভোট ইউক্রেনের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করবে, যা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে চরম দুরূহ হয়ে উঠবে।

    ইউক্রেনের ২ কোটি মানুষ দিয়া (Diia) মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা গ্রহণসহ গাড়িও বিক্রি করতে পারে তারা। তবে ফেব্রুয়ারিতে যখন তারা এই অ্যাপ ব্যবহার করে ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতায় ইউক্রেনীয় প্রতিযোগীকে ভোট দিতে যাবেন, তখন অ্যাপটিতে সমস্যা দেখা দেয়।

    রোববার ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভ একটি নির্বাচনের আয়োজনে কাজ করছে। যেখানে জেলেনস্কি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে।

    প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরই ইউক্রেনের ক্ষমতাসীন দল পিপল পার্টির প্রধান এই তথ্য অস্বীকার করেন।

    ডেভিড আরাকহামিয়া টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে বলেন, সকল সংসদীয় দল একমত যে সামরিক আইন প্রত্যাহারের ছয় মাস পরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    অনলাইন ডেস্ক

      Related Posts

      হঠাৎ করে কেঁপে উঠল ফিলিপাইন

      June 28, 2025 12:00 PM

      নিউইয়র্কে ইতিহাস! প্রথম মুসলিম মেয়র, নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিলেন!

      June 28, 2025 9:56 AM

      যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নেতানিয়াহুকে যে হুঁশিয়ারি দিলেন মামদানি

      June 27, 2025 10:35 PM
      Add A Comment
      Leave A Reply Cancel Reply

      Latest News

      Elon Musk says he has created a new US political party – Bd24live

      July 6, 2025 7:35 PM

      Tazia procession underway on holy Ashura in Dhaka – Bd24live

      July 6, 2025 5:31 PM

      Texas flood toll rises to 24 as rescuers search for missing children – Bd24live

      July 5, 2025 6:53 PM

      Dhaka to cooperate with Malaysia in terror investigation: MoFA – Bd24live

      July 5, 2025 4:38 PM
      Facebook X (Twitter) LinkedIn WhatsApp Telegram
      © 2025 Bangla News 360

      Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.