ইন্সপেক্টর হাশমত আলী জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় গত ১৩ জুন ওসি হিসেবে যোগদান করেন। তার যোগদানের পরই ২০১২ সালের ৫ নভেম্বরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই তিনি থানা ছেড়ে চলে.
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জেলার সদরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াতের মিছিলে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। সেসব পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্ষেতলাল থানার নবাগত ওসি হাশমত আলীকেও লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়।
তিনি তৎকালীন জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আজ বুধবার সকালে ওসি হাশমত আলী ক্ষেতলাল থানা ছেড়ে চলে যান। পরে পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে ওসি হাশমত আলী থানা ছেড়ে পালিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জয়পুরহাট শহরে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। তৎকালীন উপপরিদর্শক হাশমত আলীর লাঠিচার্জে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য এবং জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ বহু নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতের পুশইন, আটক ১৮
সেদিন এসআই হাশমত আলীর গুলিতে শিবিরের সাথী বদিউজ্জামাল নিহত হন বলে অভিযোগ জামায়াতে ইসলামীর। এ ঘটনার ১৩ বছর পর এসআই হাশমত আলী ক্ষেতলাল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। এরপরই ১৩ বছর আগের জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের পেটানোর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শামীম হোসেন মন্ডল বলেন, ওসি হাসমত আলী আমাদের জয়পুরহাটের জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম স্যারকে আঘাত করেছেন। আমাদের ভাইদের হয়রানি করে গ্রেপ্তার করেছেন। ওই মিছিলে আমাদের জয়পুরহাটের শিবিরের প্রথম শহীদ বদিউজ্জামানকে তিনিই গুলি করেছিলেন।
তিনি বলেন, হাসমত আলী যত দিন ক্ষেতলালে ছিলেন তত দিন পর্যন্ত জামাতের ওপর দমন, নিপীড়ন চালিয়েছেন। এরপর ক্ষেতলাল থানায় আবারো আসেন ওসি হয়ে। এরপর এলাকার মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন, গ্রেপ্তার হুমকি বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ক্ষেতলাল থানায় গিয়ে ওসি হাশমত আলীকে পাওয়া যায়নি।
ক্ষেতলাল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস এম কামাল জানান, তার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় তিনি সকালে সরকারি ফোন বুঝিয়ে দিয়ে এসপি অফিসে গেছেন। এরপর তিনি আর ফেরেননি। সম্ভবত এসপি স্যারের থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছেন।