জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইরানে মার্কিন হামলা বিপজ্জনক উত্তেজনা তৈরি করেছে। শনিবার (২১ জুন) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
মহাসচিব বলেন, ‘আজকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বলপ্রয়োগে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি এমন একটি অঞ্চলে বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে যা ইতিমধ্যে চরম অবস্থায় রয়েছে–এবং এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।’
সামাজিক মাধ্যম এক্সে করা পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘এই সংঘাত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে–যার পরিণতি বেসামরিক নাগরিক, অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে। আমি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে উত্তেজনা কমাতে এবং জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য নিয়মের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। এই বিপজ্জনক সময়ে বিশৃঙ্খলার আবর্ত এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক কোনো সমাধান নেই। সামনের একমাত্র পথ হলো কূটনীতি। একমাত্র আশা হলো শান্তি।’।
এদিকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরও অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে যা আমরা গত আট দিনে দেখেছি।”
ট্রাম্প বলেন, “মনে রাখবেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ রাতটি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে তবে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে যাব।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা শেষ করে দেয়া। সন্ত্রাসের মদদদাতা বিশ্বের এক নম্বরে থাকা দেশটির পারমাণবিক হুমকি থামিয়ে দেয়া।’
অন্যদিকে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে ফের হুঁশিয়ার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি। এই নেতার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে বুধবার (১৮ জুন) টেলিভিশনে দেয়া তার বক্তব্য আবারও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ায়, তাহলে তা হবে তাদের নিজেদের ক্ষতির জন্য।
ইরানে মার্কিন হা’ম’লা নিয়ে চাঞ্চল্যকর যে বার্তা দিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব