ইরানে ইসরায়েলের হামলার আগে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) দাবি করেছিল ইরানের কাছে প্রায় ৪০০ কেজির মতো ইউরেনিয়াম রয়েছে। তবে দেশটির পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিযান এবং ইসরায়েলর সঙ্গে সংঘাত শেষ হওয়ার পর ইরানের ইউরেনিয়ামগুলোর কোনো তথ্য পাচ্ছে না আইএইএ।
বুধবার (২৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেছেন, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ভাগ্য সম্পর্কে কিছু জানে না আইএইএ।
আইএইএ মহাপরিচালক ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করা প্রায় ৪০০ কেজি (৮৮০ পাউন্ড) ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায় অবস্থান করছে সে সম্পর্কে পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
গ্রোসি বলেন, ‘ইরানি কর্মকর্তারা তাকে বলেছেন যে তারা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যার মধ্যে এই উপাদানটি স্থানান্তর করাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে একটি প্রশ্ন আছে: এটি কোথায়? এটি নিশ্চিত করার উপায় হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিদর্শন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়া।’
ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির বিষয় সম্পর্কে আইএইএ প্রধান বলেন, ‘যে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলা হয়েছে সেগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ মাত্রার ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহানে।’
তবে আইএইএর দেয়া তথ্যমতে, পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য উপযুক্ত ৯০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ থেকে কিছুটা দূরে ইরানের ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের তেমন ক্ষতি হয়নি। কারণ, সংস্থাটি মার্কিন হামলার পর জানিয়েছিল ক্ষতিগ্রস্ত পরমাণু স্থাপনাগুলোতে তেমন তেজস্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, হামলার আগেই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয় তেহরান।
এদিকে ইরানের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, তাদের পারমাণবিক গবেষণা কার্যক্রম চলমান থাকবে। গুঞ্জন উঠেছে, পরমাণু বিস্তার রোধ চুক্তি এনপিটি থেকেও বের হয়ে যেতে পারে তেহরান।